tafseer ibne abbas part- all এটা গ্রহন যোগ্য তাফসীর নয়,
77.2M বই-তাফসীর ইবনে আব্বাস-পার্ট-পার্ট ০১, admin by rasikul islamতাফসীর ইবনে আবাস পার্ট- 02 read online এটা প্রকৃত অনুবাদ তাফসীর নয়। সনদ-নির্ভরযোগ্য নয়78.1M বই-তাফসীর ইবনে আব্বাস-পার্ট-02, admin by rasikul islam
তাফসীর ইবনে আবাস পার্ট-02 read online204.2M বই-তাফসীর ইবনে আব্বাস-পার্ট-০৩,admin by rasikul islam
তাফসীর ইবনে আবাস পার্ট- 03 read online
একসাথে সকল খণ্ড 3 files
তাফসীরে ইবন আব্বাস(এই তাফসীরের ব্যাখ্যা যে ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর নয় তাতে কোন সন্দেহ নেই।) সুতরাং এই তথাকথিত ‘তাফসীরে ইবনে আব্বাস’ মোটেই বিশ্বাসযোগ্য সনদের সাথে সাহাবী ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিত হয় নাই এবং এটা একটা অপ্রমাণিত, অনির্ভরশীল ও অগ্রহনযোগ্য তাফসীর।
হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাঃ)
Product Specification & Summary
Title | তাফসীরে ইবন আব্বাস সকল খণ্ড |
Author | হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাঃ) |
Publisher | ইসলামিক ফাউন্ডেশন |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
তাফসীর ইবনে আব্বাস কি নির্ভরযোগ্য ?
তাফসীর ইবনে আব্বাস মোটেই সাহাবী ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে প্রমাণিত তাফসীরের কিতাব নয়। তাফসীর ইবন আব্বাস বা “তানওয়ীর আলমিকবাস মিন তাফসীর ইবন আব্বাস (تنوير المقباس من تفسير بن عباس)” নামক কিতাবের লেখক আবু তাহের মুহাম্মাদ বিন ইয়াকুব আল-ফায়রুযাবাদী (أبو طاهر محمد بن يعقوب الفيروزآبادى) (মৃত্যু ১৪১৪ খৃ/৮১৭ হি.)। এই তাফসীরকে সনদ সহকারে সাহাবী ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর প্রতি সম্পৃক্ত করা হয়। কিন্তু এই সনদ দুর্বল এবং অনির্ভরযোগ্য। মুসলিম স্কলারগণ এই তাফসীরকে সম্পূর্ণরুপে বর্জন করেছেন।
কিতাবের প্রারম্ভেই লেখক যে সনদে ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে তাফসীরগুলি উল্লেখ করেছেন সেটি নিম্নরূপঃ---
أخبرنَا عبد الله الثِّقَة بن الْمَأْمُون الْهَرَوِيّ قَالَ أخبرنَا أبي قَالَ أخبرنَا أَبُو عبد الله قَالَ أخبرنَا ابو عبيد الله مَحْمُود بن مُحَمَّد الرَّازِيّ قَالَ أخبرنَا عمار بن عبد الْمجِيد الْهَرَوِيّ قَالَ أخبرنَا عَليّ بن إِسْحَق السَّمرقَنْدِي عَن مُحَمَّد بن مَرْوَان عَن الْكَلْبِيّ عَن ابي صَالح عَن ابْن عَبَّاسআবদুল্লাহ, বিশ্বাসযোগ্য বর্ণনাকারী, আল-মামুন আল-হারওয়ায়ী এর পুত্র আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন > পিতা > আবু আব্দুল্লাহ > আবু উবায়দুল্লাহ মাহমুদ ইবন মারওয়ান আল-রাযী > আম্মার ইবন আব্দ আল-মাজীদ আল-হারওয়ায়ী > আলী ইবন ইসহাক আল-সামরকান্দী > মুহাম্মাদ ইবন মারওয়ান > আল-কালবী > আবু সালিহ যিনি বর্ণনা করেছেন যে ইবন আব্বাস বলেছেনঃ
এই সনদে আছেন মুহাম্মাদ ইবনু মারওয়ান আস সুদ্দী আস সাগীর (محمد بن مروان السدي الصغير)।
তাফসীর ইবনে আব্বাস মোটেই সাহাবী ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে প্রমাণিত তাফসীরের কিতাব নয়। তাফসীর ইবন আব্বাস বা “তানওয়ীর আলমিকবাস মিন তাফসীর ইবন আব্বাস (تنوير المقباس من تفسير بن عباس)” নামক কিতাবের লেখক আবু তাহের মুহাম্মাদ বিন ইয়াকুব আল-ফায়রুযাবাদী (أبو طاهر محمد بن يعقوب الفيروزآبادى) (মৃত্যু ১৪১৪ খৃ/৮১৭ হি.)। এই তাফসীরকে সনদ সহকারে সাহাবী ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর প্রতি সম্পৃক্ত করা হয়। কিন্তু এই সনদ দুর্বল এবং অনির্ভরযোগ্য। মুসলিম স্কলারগণ এই তাফসীরকে সম্পূর্ণরুপে বর্জন করেছেন।
কিতাবের প্রারম্ভেই লেখক যে সনদে ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে তাফসীরগুলি উল্লেখ করেছেন সেটি নিম্নরূপঃ---
أخبرنَا عبد الله الثِّقَة بن الْمَأْمُون الْهَرَوِيّ قَالَ أخبرنَا أبي قَالَ أخبرنَا أَبُو عبد الله قَالَ أخبرنَا ابو عبيد الله مَحْمُود بن مُحَمَّد الرَّازِيّ قَالَ أخبرنَا عمار بن عبد الْمجِيد الْهَرَوِيّ قَالَ أخبرنَا عَليّ بن إِسْحَق السَّمرقَنْدِي عَن مُحَمَّد بن مَرْوَان عَن الْكَلْبِيّ عَن ابي صَالح عَن ابْن عَبَّاسআবদুল্লাহ, বিশ্বাসযোগ্য বর্ণনাকারী, আল-মামুন আল-হারওয়ায়ী এর পুত্র আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন > পিতা > আবু আব্দুল্লাহ > আবু উবায়দুল্লাহ মাহমুদ ইবন মারওয়ান আল-রাযী > আম্মার ইবন আব্দ আল-মাজীদ আল-হারওয়ায়ী > আলী ইবন ইসহাক আল-সামরকান্দী > মুহাম্মাদ ইবন মারওয়ান > আল-কালবী > আবু সালিহ যিনি বর্ণনা করেছেন যে ইবন আব্বাস বলেছেনঃ
এই সনদে আছেন মুহাম্মাদ ইবনু মারওয়ান আস সুদ্দী আস সাগীর (محمد بن مروان السدي الصغير)।
আসুন জেনে নেই এই রাবী সম্পর্কে ।
قال عبد السلام (1) بن عاصم عن جرير بن عبد الحميد: كذاب.
[(1) الحرح والتعديل: 8 / الترجمة 364.]আব্দুল আসলাম বিন আসেম বলেন , মিথ্যুক।
وَقَال عَباس الدُّورِيُّ (2) ، والغلابي (3) ، عَنْ يحيى بْن مَعِين: ليس ثقة.[(2) نفسه.(3) تاريخ الخطيب: 3 / 292.]
আব্বাস আদদুররী ও আল-গালবী ইয়াহিয়া বিন মাঈন হতে বলেছেন, তিনি ছিকাহ নন।
وَقَال مُحَمَّد بْن عَبد اللَّهِ بن نمير (4) : ليس بشيءٍ.[(4) نفسه.]
মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ ইবনু নুমায়র বলেন, তিনি কিছুই না।
وَقَال يعقوب بْن سفيان الفارسي (5) : ضعيف، غير يقة.[(5) المعرفة والتاريخ: 3 / 186.]
ইয়াকুব বিন সুফিয়ান আল-ফারসী বলেন, দাঈফ।
وَقَال صَالِح (6) بْن مُحَمَّد الْبَغْدَادِيّ الحافظ: كان ضعيفا، وكان يضع الحديث (7) أيضا.[(6) تاريخ الخطيب: 3 / 392 – 393.(7) قوله: “الحديث “ليست في نسخة ابن المهندس.]
সালেহ ইবনু মুহাম্মাদ আল-বাগদাদী আল-হাফেজ বলেনঃ তিনি দাঈফ , হাদীসের ক্ষেত্রে দাঈফ ।
وَقَال أَبُو حاتم (8) : ذاهب الحديث، متروك الحديث، لا يكتب حديثه البتة.
[(8) الجرح والتعديل: 8 / الترجمة 364.]
আবু হাতেম বলেন, তিনি হাদীসের ক্ষেত্রে পরিত্যাজ্য, তার হাদীস লিখতে না বলতেন।
وقَال البُخارِيُّ (9) : لا يكتب حديثه البتة (10) .
[(9) ضعفاؤه الصغير، الترجمة 340.(10) بقية كلامه: “سكتوا عنه “.]
ইমাম বুখারী তার হাদীস লিখতে না বলতেন।
জর্ডান থেকে প্রকাশিত “তানভীর আল-মিকবাস মিন তাফসীর ইবনে আব্বাস” এর ইংলিশ অনুবাদের শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছেঃ
“এই তাফসীরের ব্যাখ্যা যে ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর নয় তাতে কোন সন্দেহ নেই। যে সব রাবীর মাধ্যমে এটি হস্তগত হয়েছে তা মুহাম্মদ ইবনে মারওয়ান পর্যন্ত পৌছেছে, তাঁর থেকে ইবনে আব্বাস পর্যন্ত সনদ হল: মুহাম্মাদ ইবনে মারওয়ান> আল-কালবী > আবূ সালীহ যেটিকে হাদীস বিশারদগণ মিথ্যুকদের সনদ (সিলসিলাতুল কাযীব) বলেছেন। কারন এই রাবীদের সনদ স্পষ্টত সন্দেহপূর্ণ ও অনির্ভযোগ্য।
এমনকি কারো জন্য – ‘এটা যে ইবনে আব্বাস রা: এর তাফসীর নয়’ – তা প্রমাণ করার জন্য হাদীস বিশারদদের সনদ যাচাইয়ের পদ্ধতিগুলো ব্যবহারের দরকার নেই। এই তাফসীরের বর্ণনাগুলোর মধ্যে বহু বিশৃঙ্খলতা/অসংলগ্নতা রয়েছে যাতে কারোই সন্দেহ থাকতে পারে না যে যিনি এটা লিখেছেন তিনি ইবনে আব্বাস রা: এর বহু শতাব্দী পরে বাস করেছেন।” [১]
ড. বিলাল ফিলিপস (হাফিঃ) তার ‘উসূল আত তাফসীর এ লিখেছেন যেঃ
“তাফসীর ইবনে আব্বাস, – তানভীর আল-মিক্ববাস মিন তাফসীর ইবনে আব্বাস: এই তাফসীরটি মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব আল ফিরোযাবাদী রহ. (মৃত ৮১৭ হি:) সংকলন করেছেন। তিনি ছিলেন শাফেয়ী স্কলার এবং বিখ্যাত এরাবিক ডিকশনারী ‘আল-কামুস আল-মুহীত’ এর রচয়িতা। তাফসীরের বেশিরভাগ অংশই ব্যাখ্যামূলক বর্ণনা সমৃদ্ধ যা বিখ্যাত সাহাবী ও মুফাস্সির ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর প্রতি সম্পৃক্ত করা হয়। এর সংকলক তাফসীরের প্রতিটি সেকশনের সনদ উল্লেখ করেছেন। সেকারনে, এই তাফসীরকে কে ‘তাফসীর বিররিওয়াহ’ অর্থাৎ ‘রেওয়াত ভিত্তিক তাফসীরের’ অন্তর্ভূক্ত হিসেবে গণ্য করা হয়।
যাহোক, ইবনে আব্বাস (রাঃ) পর্যন্ত এর সনদের রাবীদের নির্ভরযোগ্যতার উপরই এ তাফসীরটির গ্রহনযোগ্যতা কতটুকু তা নির্ভর করে। সনদের রাবী মুআবিয়াহ ইবনে সালিহ থেকে কায়েস ইবনে মুসলিম আল-কুফী পর্যন্ত সহীহ গণ্য করা হয়ে (উচ্চপর্যায়ের সহীহ) এবং সনদের ইবনে ইসহাক (হিস্টরিয়ান/ইতিহাসবিদ) হাসান; এরপরের ইসমাইল ইবনে আব্দুর রহমান আস-সুদ্দী আল-কাবীর এবং আব্দুল মালিক ইবনে জুরাইয রাবী হিসেবে সন্দেহপূর্ণ (দূর্বল)। এরপরের রাবীগণ হলেন আদ-দাহহাক ইবনে মাযাহিম আল-হিলালী, আতিয়াহ আল-আওফী, মুকাতিল ইবনে সুলায়মান আল-আযদী, এবং মুহাম্মাদ ইবনে আস-সায়ি’ব আল-কালাবী – তারা সকলেই জাল করার দোষে দোষী, সকলেই অগ্রহনযোগ্য। এই তথাকথিত ‘তাফসীরে ইবনে আব্বাস’ সাহাবী ইবনে আব্বাস থেকে যত বর্ণনা এসেছে তার প্রায় সকল সনদে ‘মুহাম্মাদ ইবনে আস-সায়ি’দ আল-কালাবী রয়েছে।
সুতরাং, এই তাফসীরের অধিকাংশ অংশই নির্ভরশীল নয়, যদিও সাধারণদের নিকট এই তাফসীর জনপ্রিয়তা পেয়েছেন কিন্তু মুসলিম স্কলারগণ এটা সম্পূর্ণরূপে বর্জণ করেছেন।” [২]
Islamweb সাইটে প্রকাশিত এক ফাতাওয়ায় বলা হয়েছেঃ
“কিছু বিদ্বান এই তাফসীর বিখ্যাত ভাষাবিদ আল-ফাইরুজাবাদী যিনি ‘আল কামুস’ এর রচয়িতা, তার দ্বারা সংকলনের ব্যপারে আপত্তি জানিয়েছেন। বলা হয়েছে যে আল-ফাইরুজাবাদীরও পূর্বে এর একটা কপি পাওয়া গিয়েছিল।
যাহোক, এই বইয়ের সকল ব্যাখ্যা ইবনে আব্বাস থেকে গ্রহণ করা হয়েছে মনে করা সঠিক নয়। কারণ সবকিছুই যা ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত হয়েছে তা প্রধাণত মুহাম্মাদ ইবনে মারওয়ান আস-সুদ্দী আস-সগীর, তিনি মুহাম্মাদ ইবনে আস-সায়িব আল কালবী থেকে, তিনি আবূ সালীহ থেকে এবং তিনি ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণনা করেছেন। এই সনদ হল ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত সনদের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল সনদ যেটিকে ইমাম সূয়ূতী (রহঃ) ‘মিথ্যুকদের বর্ণিত সনদ’ বলেছেন।
মুহাম্মাদ হুসাইন আয-যাহাবী রহ. এ বইটি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। এই বই সম্পর্কে তাঁর কথাগুলো এরূপ: “এটার উপর কমেন্ট করার জন্য এটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট যা ইবনে আবদ্ আল-হাকামের সনদে ইমাম শাফেয়ী রহ. থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম শাফেয়ী রহ. বলেছেন, ‘ইবনে আব্বাস থেকে তাফসীরের ব্যপারে প্রায় একশ হাদীস ছাড়া কোন কিছুই বিশ্বাসযোগ্যভাবে বর্ণিত হয় নি’। এই বর্ণনা যা ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে তা যদি সত্যি হয়ে থাকে, তবে তা নির্দেশ করছে জাল রেওয়াতকারীরা কি পরিমান সাংঘাতিক হতে পারে যে ইবনে আব্বাস রা: থেকে কি বিশাল সংখ্যক হাদীস তারা জাল করেছে। আর তাফসীরে ইবনে আববাসে বর্ণিত রেওয়াতগুলোর পরস্পর বিরোধী ও অসংলগ্ন কথাবার্তাই এটি যে ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিত হয় নাই তার প্রমাণ বহন করে, – এর চেয়ে বড় আর কোন প্রমানের দরকার নাই। [৩]
সুতরাং এই তথাকথিত ‘তাফসীরে ইবনে আব্বাস’ মোটেই বিশ্বাসযোগ্য সনদের সাথে সাহাবী ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিত হয় নাই এবং এটা একটা অপ্রমাণিত, অনির্ভরশীল ও অগ্রহনযোগ্য তাফসীর।
সংকলনঃ সত্যান্বেষী রিসার্চ টীম
প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না।
—————————————————————————————————-
রেফারেন্সঃ
[১] Guezzou, Mokrane 2007. Tanwir al-Miqbas min Tafsir Ibn Abbas. Royal Aal al-Bayt Institute. Amman, Jordan. Page-05: http://altafsir.com/Books/IbnAbbas.pdf
[২] Usool At-Tafseer, Bilal Philips, Page 39. See Mabaahith fee ‘Uloom al-Qur’an, pp.360-362 and at-Tafseer wa al-Mufassiroon, pp.81-83.
[৩] Islamweb Fatwa : Tanweer Al-Miqbaas min Tafseer Ibn ‘Abbaas
قال عبد السلام (1) بن عاصم عن جرير بن عبد الحميد: كذاب.
[(1) الحرح والتعديل: 8 / الترجمة 364.]আব্দুল আসলাম বিন আসেম বলেন , মিথ্যুক।
وَقَال عَباس الدُّورِيُّ (2) ، والغلابي (3) ، عَنْ يحيى بْن مَعِين: ليس ثقة.[(2) نفسه.(3) تاريخ الخطيب: 3 / 292.]
আব্বাস আদদুররী ও আল-গালবী ইয়াহিয়া বিন মাঈন হতে বলেছেন, তিনি ছিকাহ নন।
وَقَال مُحَمَّد بْن عَبد اللَّهِ بن نمير (4) : ليس بشيءٍ.[(4) نفسه.]
মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ ইবনু নুমায়র বলেন, তিনি কিছুই না।
وَقَال يعقوب بْن سفيان الفارسي (5) : ضعيف، غير يقة.[(5) المعرفة والتاريخ: 3 / 186.]
ইয়াকুব বিন সুফিয়ান আল-ফারসী বলেন, দাঈফ।
وَقَال صَالِح (6) بْن مُحَمَّد الْبَغْدَادِيّ الحافظ: كان ضعيفا، وكان يضع الحديث (7) أيضا.[(6) تاريخ الخطيب: 3 / 392 – 393.(7) قوله: “الحديث “ليست في نسخة ابن المهندس.]
সালেহ ইবনু মুহাম্মাদ আল-বাগদাদী আল-হাফেজ বলেনঃ তিনি দাঈফ , হাদীসের ক্ষেত্রে দাঈফ ।
وَقَال أَبُو حاتم (8) : ذاهب الحديث، متروك الحديث، لا يكتب حديثه البتة.
[(8) الجرح والتعديل: 8 / الترجمة 364.]
আবু হাতেম বলেন, তিনি হাদীসের ক্ষেত্রে পরিত্যাজ্য, তার হাদীস লিখতে না বলতেন।
وقَال البُخارِيُّ (9) : لا يكتب حديثه البتة (10) .
[(9) ضعفاؤه الصغير، الترجمة 340.(10) بقية كلامه: “سكتوا عنه “.]
ইমাম বুখারী তার হাদীস লিখতে না বলতেন।
জর্ডান থেকে প্রকাশিত “তানভীর আল-মিকবাস মিন তাফসীর ইবনে আব্বাস” এর ইংলিশ অনুবাদের শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছেঃ
“এই তাফসীরের ব্যাখ্যা যে ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর নয় তাতে কোন সন্দেহ নেই। যে সব রাবীর মাধ্যমে এটি হস্তগত হয়েছে তা মুহাম্মদ ইবনে মারওয়ান পর্যন্ত পৌছেছে, তাঁর থেকে ইবনে আব্বাস পর্যন্ত সনদ হল: মুহাম্মাদ ইবনে মারওয়ান> আল-কালবী > আবূ সালীহ যেটিকে হাদীস বিশারদগণ মিথ্যুকদের সনদ (সিলসিলাতুল কাযীব) বলেছেন। কারন এই রাবীদের সনদ স্পষ্টত সন্দেহপূর্ণ ও অনির্ভযোগ্য।
এমনকি কারো জন্য – ‘এটা যে ইবনে আব্বাস রা: এর তাফসীর নয়’ – তা প্রমাণ করার জন্য হাদীস বিশারদদের সনদ যাচাইয়ের পদ্ধতিগুলো ব্যবহারের দরকার নেই। এই তাফসীরের বর্ণনাগুলোর মধ্যে বহু বিশৃঙ্খলতা/অসংলগ্নতা রয়েছে যাতে কারোই সন্দেহ থাকতে পারে না যে যিনি এটা লিখেছেন তিনি ইবনে আব্বাস রা: এর বহু শতাব্দী পরে বাস করেছেন।” [১]
ড. বিলাল ফিলিপস (হাফিঃ) তার ‘উসূল আত তাফসীর এ লিখেছেন যেঃ
“তাফসীর ইবনে আব্বাস, – তানভীর আল-মিক্ববাস মিন তাফসীর ইবনে আব্বাস: এই তাফসীরটি মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব আল ফিরোযাবাদী রহ. (মৃত ৮১৭ হি:) সংকলন করেছেন। তিনি ছিলেন শাফেয়ী স্কলার এবং বিখ্যাত এরাবিক ডিকশনারী ‘আল-কামুস আল-মুহীত’ এর রচয়িতা। তাফসীরের বেশিরভাগ অংশই ব্যাখ্যামূলক বর্ণনা সমৃদ্ধ যা বিখ্যাত সাহাবী ও মুফাস্সির ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর প্রতি সম্পৃক্ত করা হয়। এর সংকলক তাফসীরের প্রতিটি সেকশনের সনদ উল্লেখ করেছেন। সেকারনে, এই তাফসীরকে কে ‘তাফসীর বিররিওয়াহ’ অর্থাৎ ‘রেওয়াত ভিত্তিক তাফসীরের’ অন্তর্ভূক্ত হিসেবে গণ্য করা হয়।
যাহোক, ইবনে আব্বাস (রাঃ) পর্যন্ত এর সনদের রাবীদের নির্ভরযোগ্যতার উপরই এ তাফসীরটির গ্রহনযোগ্যতা কতটুকু তা নির্ভর করে। সনদের রাবী মুআবিয়াহ ইবনে সালিহ থেকে কায়েস ইবনে মুসলিম আল-কুফী পর্যন্ত সহীহ গণ্য করা হয়ে (উচ্চপর্যায়ের সহীহ) এবং সনদের ইবনে ইসহাক (হিস্টরিয়ান/ইতিহাসবিদ) হাসান; এরপরের ইসমাইল ইবনে আব্দুর রহমান আস-সুদ্দী আল-কাবীর এবং আব্দুল মালিক ইবনে জুরাইয রাবী হিসেবে সন্দেহপূর্ণ (দূর্বল)। এরপরের রাবীগণ হলেন আদ-দাহহাক ইবনে মাযাহিম আল-হিলালী, আতিয়াহ আল-আওফী, মুকাতিল ইবনে সুলায়মান আল-আযদী, এবং মুহাম্মাদ ইবনে আস-সায়ি’ব আল-কালাবী – তারা সকলেই জাল করার দোষে দোষী, সকলেই অগ্রহনযোগ্য। এই তথাকথিত ‘তাফসীরে ইবনে আব্বাস’ সাহাবী ইবনে আব্বাস থেকে যত বর্ণনা এসেছে তার প্রায় সকল সনদে ‘মুহাম্মাদ ইবনে আস-সায়ি’দ আল-কালাবী রয়েছে।
সুতরাং, এই তাফসীরের অধিকাংশ অংশই নির্ভরশীল নয়, যদিও সাধারণদের নিকট এই তাফসীর জনপ্রিয়তা পেয়েছেন কিন্তু মুসলিম স্কলারগণ এটা সম্পূর্ণরূপে বর্জণ করেছেন।” [২]
Islamweb সাইটে প্রকাশিত এক ফাতাওয়ায় বলা হয়েছেঃ
“কিছু বিদ্বান এই তাফসীর বিখ্যাত ভাষাবিদ আল-ফাইরুজাবাদী যিনি ‘আল কামুস’ এর রচয়িতা, তার দ্বারা সংকলনের ব্যপারে আপত্তি জানিয়েছেন। বলা হয়েছে যে আল-ফাইরুজাবাদীরও পূর্বে এর একটা কপি পাওয়া গিয়েছিল।
যাহোক, এই বইয়ের সকল ব্যাখ্যা ইবনে আব্বাস থেকে গ্রহণ করা হয়েছে মনে করা সঠিক নয়। কারণ সবকিছুই যা ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত হয়েছে তা প্রধাণত মুহাম্মাদ ইবনে মারওয়ান আস-সুদ্দী আস-সগীর, তিনি মুহাম্মাদ ইবনে আস-সায়িব আল কালবী থেকে, তিনি আবূ সালীহ থেকে এবং তিনি ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণনা করেছেন। এই সনদ হল ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত সনদের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল সনদ যেটিকে ইমাম সূয়ূতী (রহঃ) ‘মিথ্যুকদের বর্ণিত সনদ’ বলেছেন।
মুহাম্মাদ হুসাইন আয-যাহাবী রহ. এ বইটি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। এই বই সম্পর্কে তাঁর কথাগুলো এরূপ: “এটার উপর কমেন্ট করার জন্য এটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট যা ইবনে আবদ্ আল-হাকামের সনদে ইমাম শাফেয়ী রহ. থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম শাফেয়ী রহ. বলেছেন, ‘ইবনে আব্বাস থেকে তাফসীরের ব্যপারে প্রায় একশ হাদীস ছাড়া কোন কিছুই বিশ্বাসযোগ্যভাবে বর্ণিত হয় নি’। এই বর্ণনা যা ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে তা যদি সত্যি হয়ে থাকে, তবে তা নির্দেশ করছে জাল রেওয়াতকারীরা কি পরিমান সাংঘাতিক হতে পারে যে ইবনে আব্বাস রা: থেকে কি বিশাল সংখ্যক হাদীস তারা জাল করেছে। আর তাফসীরে ইবনে আববাসে বর্ণিত রেওয়াতগুলোর পরস্পর বিরোধী ও অসংলগ্ন কথাবার্তাই এটি যে ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিত হয় নাই তার প্রমাণ বহন করে, – এর চেয়ে বড় আর কোন প্রমানের দরকার নাই। [৩]
সুতরাং এই তথাকথিত ‘তাফসীরে ইবনে আব্বাস’ মোটেই বিশ্বাসযোগ্য সনদের সাথে সাহাবী ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিত হয় নাই এবং এটা একটা অপ্রমাণিত, অনির্ভরশীল ও অগ্রহনযোগ্য তাফসীর।
সংকলনঃ সত্যান্বেষী রিসার্চ টীম
প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না।
—————————————————————————————————-
রেফারেন্সঃ
[১] Guezzou, Mokrane 2007. Tanwir al-Miqbas min Tafsir Ibn Abbas. Royal Aal al-Bayt Institute. Amman, Jordan. Page-05: http://altafsir.com/Books/IbnAbbas.pdf
[২] Usool At-Tafseer, Bilal Philips, Page 39. See Mabaahith fee ‘Uloom al-Qur’an, pp.360-362 and at-Tafseer wa al-Mufassiroon, pp.81-83.
[৩] Islamweb Fatwa : Tanweer Al-Miqbaas min Tafseer Ibn ‘Abbaas
আপনি চাইলে -Whatapps-Facebook-Twitter-ব্লগ- আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking-ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন-মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]-:-admin by rasikul islam নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিটকরুন -এই ওয়েবসাইটে -https://sarolpoth.blogspot.com/(জানা অজানা ইসলামিক জ্ঞানপেতে runing update),<> -https://rasikulindiaa.blogspot.com(ইসলামিক বিশুদ্ধ শুধু বই পেতে, পড়তে ও ডাউনলোড করতে পারবেন).
Post a Comment